কানাডা যাওয়ার নিয়ম ২০২৫

 আমাদের দেশে অনেকজন রয়েছে যারা সুন্দর জীবন যাপন করতে বিদেশ গিয়ে থাকেন। আবার সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রচুর পরিমাণ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে যান। প্রায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ  যায় ।


কানাডা হচ্ছে একটু শান্তিপ্রিয় দেশ পড়ালেখা কাজ ও টুরিস্ট ভিসায় যাওয়া যায় সে দেশে । এটি উত্তর আমেরিকা একটি বড় দেশ। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের মধ্যে অন্য।  স্বপ্ন দেশেও বলা হয় এই দেশকে।


পেজ সূচিপত্রঃ কানাডা যাওয়ার ৭টি উপায়

কানাডা গিয়ে মাসে আয় লাখ টাকা 

কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় 

কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৫

কানাডা তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

কানাডা  স্টাডি ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা 

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি 

শেষ কথা 

কানাডা গিয়ে মাসে আয় লাখ টাকা

প্রতিবছর কানাডা থেকে তারা বিপুল পরিমাণ কাজের সার্কুলার ছাড়ে। সহজ ভাবে বলতে গেলে কানাডা বেতন কত থাকে জানা থাকলে ভিসা তৈরি  ও কাজের ধরনের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। বর্তমানে কানাডাতে বিপুল পরিমাণ পার্ট টাইম জব রয়েছে। সেগুলোতে সর্বনিম্ন প্রায়৫৫০ ডলার বেতন দেয়।

যদি আপনার কোন স্কিল বা কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনার জন্য অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। যেকোনো কাজ করতে পারলে সেখানে ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব।ভাল কাজ করলে প্রতি মাসে ১৫০০ ডলার আয় করা সম্ভব । 

বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের বেতন রয়েছে। আবার সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করেও অনেক টাকা সম্ভব। সেখানে যেতে হলে ভালো করে পূর্বে এপ্লাই করতে হবে। ভুল মানুষের হাতে
আপনার জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে। পরিচিত কেউ থাকলে অথবা সরাসরি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে যাওয়া ভালো।

কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় 

যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । অনেক বিদেশ প্রত্যাশী ওয়ার্ক ভিসায় আবেদন করে কানাডায় চাকরির অফার নিয়ে যায়। এটি একটি কঠিন প্রক্রিয়া কিন্তু এর মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যায়। কানাডা যাওয়ার আরেকটি সহজ উপায় হল স্টাডি ভিসা।

বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিবছর লাখো শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যায়। আর কানাডা হল বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম জায়গা। কানাডার হলো শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্নের দেশ। সেখানকার পড়ার মাধ্যম অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো তাই সেখানে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য যায়।

জীবন মানের বিবেচনায় কানাডার অবস্থান তৃতীয়। স্টাডি ভিসার জন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া আগে থেকে করে রাখতে হবে সে ক্ষেত্রে সেখানে আপনি সেই সেক্টরে চাকরি করতে পারবে এই সুযোগটি সব দেশের জন্য রয়েছে। আরেকটা সহজ মাধ্যম হচ্ছে ভ্রমণ ভিসা। সেক্ষেত্রে সেখানে আপনি স্থায়ী হবেন না।

কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৫

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ধরনের খরচ লাগে। কেউ যায় উচ্চশিক্ষার জন্য কেউ যায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবার কেউ যায় ভ্রমণ ভিসা। যেমন কানাডায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বা স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে 5 থেকে 7 লক্ষ টাকা প্রায় খরচ হয়।

আবার সে দেশে কাজের দেশে কেউ গেলে তাকে খরচ করতে হবে 9 থেকে 12 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু কতটা খরচ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না । আবার টুরিস্ট ভিসায় সে দেশে যেতে হলে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

অনেক মানুষ আছে যারা অবৈধ পথে যেতে চাই । সেক্ষেত্রে মানুষের অনেক ঝুঁকি থাকে। আবার কেউ ধরা পড়লে তাকে জেলে সাজাও দেওয়া হয়। সেটাকে বর্ডার ক্রসিং বলা হয়। কানাডাতে কেউ পরিচিত থাকলে সে ক্ষেত্রে সেখানে যাওয়া সবচেয়ে সুরক্ষিত উপায় হবে। সেখানে তার জীবনের ঝুঁকি বেশি থাকে না।

কানাডা তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

প্রতিবছর কানাডা থেকে কাজের জন্য অনেক কাজের সার্কুলার ছাড়াই সেখান থেকে সরাসরি আবেদন করে অথবা সরকারিভাবেও আবেদন করা যায়। 


সরকারিভাবে আবেদন করতে হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে যোগাযোগ করতে হবে। আবার বেসরকারিভাবেও কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করা যায়।

 এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ওই দেশের এম্বাসিতে অথবা ভিসা অফিসে গিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সেখানে তথ্যপ্রদানের মাধ্যমে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। কোন দালালের হাত দিয়ে সে কাজটি করলে আপনার ভিসা ঝুঁকিতে পড়বে।

কানাডা  স্টাডি ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা

কানাডা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলো কানাডা। এদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ আবেদন করে। সে দেশে যাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা থাকা লা। সে দেশে গিয়ে তাদের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।

একজন বাংলাদেশীকে যেতে হলে  কি কি যোগ্যতা লাগবে তা জেনে নিই । তার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি কি বিষয় এ যাবেন । যেমন শিক্ষার্থী ভিসায় যেতে হলে বেশি যোগ্যতা থাকা লাগে।

বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে,সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ কালার ছবি, ইএলতস এ স্কোর সরবনিম্ন ৬ থাকতে হবে । সেখান কার কোনও বিশ্ব বিদ্যালয়ের অফার লেটার থাকতে হবে । আবেদন পত্রের ফরম এর কপি । 


কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি 

আমাদের দেশ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে আপনি কানাডা আগমন করতে পারবেন। সেগুলো স্টাডি ভিসাম, ওয়ার্ক পারমিট এবং টুরিস্ট ভিসা। আবার সরকারিভাবে কানাডা যেতে আপনার ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট, আই  এল সে নূন্যতম স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে। তার সাথে সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কানাডা  বিশ্বের  শক্তিশালী ভিসা গুলোর মধ্যে কানাডার ভিসা অনেক শক্তিশালী। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসন কে কানাডায় আসার সুযোগ করে দিয়েছে কানাডা সরকার। ২০২৫ সালের এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। 



বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশী কানাডা অভিবাসন করে ওয়ার্ক পারমিট  ভিসায় । অন্যান্য ভিসার চেয়ে এটি অনেক সহজেই পাওয়া যায়। ক্লিনিং, রেস্টুরেন্ট, ওয়ার্কশপ, ডেলিভারি ইত্যাদি অনেক কাজ রয়েছে। এদেশে কাজের কোন অভাব নেই। তারা আরো বেশি পরিমান লোক নিচ্ছে এ কাজগুলোই। তাই প্রতিবছর এ দেশ থেকে অনেক মানুষ পারি জমাই কানাডায়।

শেষ কথাঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা

আজকের এই পোস্টে আমরা কানাডা যাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যাতে আপনারা এখান থেকে কানাডা যাওয়ার সম্পর্কে কিছু ধারনা পান।

একটি দেশ থেকে অন্য দেশে আপনি পারি জমাবেন আপনার আত্মীয়-স্বজন কে রেখে। তাই কোন দালাল বা প্রতারকের হাতে না দিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বিশ্বস্ত কাউকে দিবেন তাতে আপনার জীবন ঝুঁকে থেকে বেঁচে যাবে। টাকা ইনকামের লালসায় নিজের জীবনকে বিপদের দিকে নিয়ে যাবেন না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url